তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কে রেখে ডুমুরিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, খুলনা-এর বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা নিম্নরূপ:
১. বিভিন্ন শিল্প খাতের সাথে সমন্বয় বৃদ্ধি:
কারিগরি শিক্ষাকে বর্তমান শিল্পের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করতে হবে। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা, নির্মাণ খাত, অটোমোবাইল ইত্যাদির জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করা। বিশেষজ্ঞদের সাথে অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে শিল্পের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী কোর্স ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
২. মডার্ন প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি:
আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ৩ডি প্রিন্টিং, এবং স্মার্ট প্রযুক্তি শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা।
অনলাইন কোর্স, ভার্চুয়াল ক্লাস এবং দক্ষতার উন্নয়ন সেশন সরবরাহ করা, যাতে শিক্ষার্থীরা সময় ও স্থান নির্বিশেষে শিক্ষা নিতে পারে।
৩. ইন্ডাস্ট্রি-আকাডেমিয়া সম্পর্ক বৃদ্ধি:
ইন্ডাস্ট্রি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও অন-দ্য-জব প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া। বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ প্রকল্প চালানো এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ক্ষেত্রের সমস্যার সমাধান খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করা।
৪. কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা গড়ে তোলা:
শিক্ষার্থীদের শুধু চাকরি নির্ভর না রেখে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মকর্মসংস্থান তৈরির জন্য দক্ষতা প্রদান।
স্টার্টআপ এবং ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান করা, যেমন নেটওয়ার্কিং, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও অর্থ ব্যবস্থাপনা।
৫. প্রশিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ:
কারিগরি শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন, যাতে তারা সর্বশেষ প্রযুক্তি ও শেখার পদ্ধতিতে দক্ষ হন। শিক্ষকরা নতুন শিক্ষা কৌশল এবং শিক্ষণ উপকরণ নিয়ে অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
৬. কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন:
শ্রেণীকক্ষে উন্নত প্রযুক্তি, কম্পিউটার ল্যাব, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচারের উন্নয়ন। সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য আধুনিক কারিগরি উপকরণ প্রদান।
৭. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
বিদেশি শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং বিদেশি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি।
শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক বাজারের জন্য প্রস্তুত করা, যাতে তারা আন্তর্জাতিকভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। এই সব উদ্যোগের মাধ্যমে, কারিগরি স্কুল ও কলেজগুলো ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী, দক্ষ এবং কর্মসংস্থান-সংক্রান্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস